Thursday, November 12, 2020

বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট অষ্টম শ্রেণি.

অষ্টম শ্রেণির (৮) Class 8 দ্বিতীয় সপ্তাহের Assignment & Solution



                  বিজ্ঞান

(ক) কোষ বিভাজন কাকে বলে?


কোষ বিভাজন একটি মৌলিক ও অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়া যার দ্বারা জীবের দৈহিকবৃদ্ধি ও বংশ বৃদ্ধি ঘটে । যে প্রক্রিয়ায় জীব কোষের বিভক্তির মাধ্যমে একটি থেকে দুটি বা চারটি কোষের সৃষ্টি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে । বিভাজনের ফলে সৃষ্ট নতুন কোষকে অপত্য কোষ (Daughter cell) এবং যে কোষটিবিভাজিত হয় তাকে মাতৃ কোষ (Mother cell) বলে ।

কোষ বিভাজন ৩ প্রকার । যথাঃ- অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন, মাইটোসিস কোষ বিভাজন এবং 
মিয়োসিস কোষ বিভাজন।

(খ)মিয়োসিস কোষ বিভাজনকে হ্রাস মূলক বিভাজন বলা হয় কেন? 
ব্যাখ্যা কর।

মিয়োসিস কোষ বিভাজনকে হ্রাস মূলক বিভাজন বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 

মিয়োসিস কোষ বিভাজনকে মাতৃকোষর নিউক্লিয়াসটি পরস্পপর দুইবার বিভাজিত হলেও ক্রোমোজোম 

বিভাজিত হয় মাত্র একবার। ফলে অপত্য কোষে ক্রোমোজোমর সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়। এ বিভাজনে

 ক্রোমোজোমর সংখ্যা অর্ধেক হ্রাস পায় বলে এ ধরনের বিভাজনকে হ্রাস মূলক বিভাজন বলে।

(গ)Assignment: মাইটোসিস কোষ বিভাজনের দীর্ঘস্থায়ী পক্রিয়াটি উদ্ভিদের বৃদ্ধিতেকীভা
উদ্দীপকে উল্লেখিত বিভাজন পক্রিয়ার দীর্ঘস্থায়ী ধাপটি হল প্রোফেজ। প্রোফেজ মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ক্যারিওকাইনেসিসের প্রথম ধাপ। 



প্রোফেজ উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে নিন্মলিখিত ভূমিকা রাখেঃ

উদ্ভিদের বর্ধনশীল অংশে ভাজক টিস্যু যেমনঃ কান্ড, মূলের অগ্রভাগ, ভ্রুণমুকুল, বর্ধনশীল পাতা, মুকুল ইত্যাদিতে মাইটোসিস কোষ বিভাজন ঘটে। এ প্রক্রিয়ায় মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি  একবার বিভাজিত হয়ে সমআকৃতির, সমগুণ সম্পন্ন ও সমসংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ট দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে। এ ধরনের বিভাজনে প্রতিটি ক্রোমোজোম লম্বালম্বিভাবে দুইভাগে বিভক্ত হয়। ফলে সৃষ্ট নতুন কোষ দুটিতে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃ কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার সমান থাকে। এভাবে কোষ বিভাজনের দীর্ঘস্থায়ী ধাপ প্রোফেজ উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
(ঘ)

(((((ঘ  অভিস্রবন প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব উদ্ভিদের জীবনে কত খানি তা ব্যাখ্যা কর?

উদ্দীপকে মায়ের বলা পক্রিয়াটির নাম হল অভিস্রবন পক্রিয়া।


অভিস্রবন  প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  নিচে এর কারণ বিশ্লেষণ করা হল-

  • পানিতে দ্রবীভূত বিভিন্ন খনিজ লবণ অভিস্রবন পক্রিয়ায় উদ্ভিদের কোষের মধ্যে প্রবেশ করে বা বাইরে আসে। 
  • উদ্ভিদ এককোষী মূলরোম দিয়ে মাটি থেকে পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবণ অভিস্রবন পক্রিয়ায় শোষণ করে। 
  • অভিস্রবনের কারণে রসস্ফীতি ঘটে, ফলে উদ্ভিদের কান্ড ও পাতা সতেজ ও খাড়া থাকে।
  • পত্ররন্দ্ৰ খোলা বা বন্ধ হওয়া অভিস্রবন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। 
  • উদ্ভিদের অভ্যন্তরে এক কোষ হতে অন্য কোষে পানি চলাচল, কোষের বৃদ্ধি, কোষের স্বাভাবিক আকার ও আকৃতি রাখা কোষের দৃঢ়তা প্রদান, মাটি হতে রস উত্তোলন, বীজের অঙ্কুরোদগম প্রভৃতিতে অভিস্রবন  প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
  • সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, অভিস্রবন  প্রক্রিয়া দ্বারা উদ্ভিদের সার্বিক শরীরবৃত্তীয় পক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।  তাই অভিস্রবন  প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।






রও দেখুন...

No comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.